পুরুষ হওয়া গেলো না
মাসুম খান
চারদিকে মৃত্যুেরা শুয়ে আছে চোখ মেলে
আমি জাগ্রত শবের পাহারায় আছি
মধ্যখানে শুয়ে আসে কী ঘুম!
ঘুমের আয়োজনে?
অপেক্ষা করি,
আমি তো শুধুই অপেক্ষা করি
তুমি বা অন্য কারো জন্যে
করি যে কারো জন্যে
ঘুম কিংবা তুমি-
সেটাই সত্য,
মৃত্যু! জতে পারে এমনো।
আমার জন্মগত অধিকার
আপনার খারাপ লাগবে কেন!
জন্মের ঋণ তো সেখানেই শোধ।
পৃথিবীতেই না হয়
অভ্যাসী হই তহুরায়-শরাব
সামান্য বেশিতে এমন ক্ষতি কার!
আর তোমার?
ভালো লাগার কথা।
পরেই না হয় থাকি আর কিছুক্ষণ
তোমার গন্ধ ভরা বিছানার কোণে।
মন খারাপ করো না
লাভ নেই তাতে
চাই না তো করুণার দৃষ্টি
তোমার বা আর কারো।
আমার খারাপ লাগে না কোনো কিছুতেই!
শুনলে হাসি পায়!
জীবনের চাওয়া কী!
অতি থেকে অতি সামান্য
জানেন?
না, জানবেন কেমনে!
চাই না তোমার করুণার দৃষ্টি
মৃত্যুকালে।
কারোর করুণার দৃষ্টি চাই না
মরে পরে থাকার ক্লান্তিহীন সময়
এমনই গুণময় হয়েছে এ রাত্রের
কথা বলা শবগুলো।
ইচ্ছা হলো কেন!
জানি না তাও
হয় তো বলবো সময় ভগ্নাংশটুকু রেখে গেছে।
ভালো নেই দাদা,
তবে ভাবনারও কিছু নেই
উদাস দুপুর গেলো দুপুরেই
যেমন এখন মধ্যরাত যাবে চলে।
জীবনটাকে গুছিয়ে নিয়ে
যেতে বড় স্বাধ ছিলো।
শরাবে তহুরার পাত্রপানে
তাকিয়ে দেখবো অসীম সৌন্দর্যে
বিকশিত তোমার পল্লব
মুদিত আঁখিদুটি তোমার
আর আমি মুদিরায় মাতাল!
যেন এখন যেমন বিছানায় একা,
মরে পরে থাকার কাম্য শুধু নয়
সে এখন আমার বিলাসিতায়
পাকাপোক্তরূপে বর্তমান।
এখনো যথেষ্ট ছেলে-মানুষ
রয়ে গেলাম!
তাই না!!
এটাই আমার দুঃখ
মরে পরে থাকাটাও
হলো না এখনো!
ছেলে-মানুষ রয়ে গেলাম ভালোবাসায়
পুরুষ হওয়া জলো না আমার।
নন্দনকানন, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
আপনার মতামত লিখুন :