kalchitro
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্মৃতিচারণ


কালচিত্র | অনুশ্রীতা মন্দল প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৩, ১০:৫৬ এএম স্মৃতিচারণ

স্মৃতিচারণ

অনুশ্রীতা মন্দল

আমি তো এখন অধ্যাপিকা। সুবিধার জন্য বলে রাখি সেই বছর সংস্কৃতে আমি একমাত্র ‍‍`এস. সি.‍‍` যে, কলেজ সার্ভিস কমিশনে জেনারেলে ছিলাম।এটা বলার কারণ, ওই যে সীতাকে একবার অগ্নি পরীক্ষা দিতে হয়ছে আমাদের মানে ‍‍` শূদ্রা নারীকেও ‍‍` সারাজীবন অগ্নি, জল, বায়ু, আকাশ সবরকম পরীক্ষা দিয়ে যেতে হবে। আজও ভুলে যাই নি "ও পোদেদের মেয়ে" এই সংজ্ঞার সাথে মিশে থাকা তাচ্ছিল্যভাবকে। স্নাতকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেলে তিন রঙ্কিং এ ভর্তি হওয়ায় জন্য কিছু সহপাঠীর কোঁচকানো ভুরু, মুখের অস্বস্থিরভাব আর বাঁকা উক্তিগুলোকে, একটু ভালো করে ব্যাকরণ শিখতে চাওয়ার আবেদনে চুপ করিয়ে দেওয়াকে। জন্ম থেকেই সংস্কৃত ব্যাকরণ শেখার ইচ্ছা না থাকলে অতিরিক্ত শ্রেণি (এক্সট্রা ক্লাস) পাওয়া যায় না। যারা জন্মের পর থেকেই জানত তারা সংস্কৃতে পণ্ডিত হবে সত্যি তারা নমস্য।

আমি নিশ্চিত তারা গত জন্মের সুফল ভোগ করছেন। কারোর নাম উল্লেখ না করেই বলি তাদের কেউ আমার বন্ধু, কেউ জুনিয়র, কেউ সিনিয়র, কেউ আমার অধ্যাপক, কেউ বা কলিগ। তবে আমি তাঁদের মত অসংখ্য ব্যক্তিকে সম্মানের সাথে ক্ষমা করেছি তাই আজ এখানে। ভুলি নি দিল্লিতে পড়াশুনা করা কালীন বাইরের এবং আন্তরিক মানুষগুলোর থেকে কখনো হাসির ছলে, কখনও লাইব্রেরিতে পদবী লিখি নি বলে, কখনও বিষয় শুনে, কখনও শুধু পরীক্ষার জন্য পড়ছিলাম বলেই পাশে এসে ‍‍'তুমারে লিয়ে তো কোটা হ্যা' জাতীয় আকস্মিক ছুঁড়ে দেওয়া কটূক্তিগুলিকে। যদিও সেই এম.ফিলের এন্ট্রান্স এও জেনারেলেই তিন রাঙ্ক করি। সবটা খুব ভালো ভাষায় বলছি কারণ আমার কাজ জ্বলন্ত আগুনের তাপ কমানো। উঠতে বসতে হাঁটতে চলতে এগুলো শুনছি আর ঢোক গিলছি।

আজও সেই দিন শেষ হয় নি আর, হয়ত হবেও না। আজকেও যখন স্কুল, কলেজের পরিসরে বসে শুনতে হয় "মানুষের জীবনের ব্যাপার বলে কথা ! তাই আর যাই হোক, কোটার ডাক্তার হওয়া উচিত নয়"। নস্কর, হালদার, মণ্ডল পদবীর ডাক্তারকে খুব সচেতনভাবে দেখানো হচ্ছে না।রোগী মরণাপন্ন হলেও তার কাছে বিচার্য হল ডাক্তার কোন জাতের। হে আমার ভারত !

এদিকে যারা আমাকে দেখে বা আমার উপস্থিতিতে এগুলো বলছেন তিনি বা তারা সংবিধান অনুযায়ী অধিকাংশই ও বি সি আওতাভুক্ত। যদিও তারা অনেকেই নিজেদের অদ্যাবধি ‍‍'হায়য়ার কাস্ট‍‍' বলে গর্ব অনুভব করেন। দুর্ভাগ্য ! সুবিধা নেওয়ার সময় চুপিচুপি নিয়ে নেন কিন্তু অন্তর্মনের কোনো পরিবর্তন নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালান যে মাইনোরিটি তাঁকেও বলতে শুনছি "রাষ্ট্রপতির পাশে যে দাঁড়িয়ে থাকে সে কত সুন্দর আর রাষ্ট্রপতিকে দেখো !" সাথে সাথে মুখটা বেজায় করে তাকানো। আর কতদিন ?

'আজাদী কা অমৃত মহোৎসবে' ‍‍উচ্চ শিক্ষাপ্রাপ্ত মানুষদের মাঝে বসে শুনতে হচ্ছে 'এই কোটা সিস্টেম সব শেষ করে দিল'। দুর্ভাগ্যবশত তাদের বেশিরভাগ সংবিধানের আওতায় ও বি সি নামে কথিত। নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে তারা কেউই সচেতন নন বরং রংবেরংয়ের মুখোশে ঢাকা এই বাংলায় শুধু ব্রাহ্মণ্যবাদের লেশ জাতপাতে নয় জীবনের প্রতিটা স্তরেই সুপ্ত আছে। সেটা ধর্মের নামে হোক, মতবাদের নামে হোক, রীতির নামে হোক, খাদ্যের নামে হোক, বিভিন্ন জাতির একে অপরের মধ্যেই হোক, তবে আছে।

কিছু কথা বলা হয় না বা শোনা যায় না বলে সেটা ‍‍'ছিল না‍‍' 'নেই' এমন বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়া যেমন বোকামি, ঠিক তেমন পশ্চিমবঙ্গে জাতপাত নেই এমনটা ভাবা বা বলা দুটোই মূর্খতা। আসলে আমরা ঠিক ঘাঁটাতে চাই না। কেন ? ভয় পাই ! ভাবতে ভয় পাই।লড়াই করতে ভয় পাই, পাছে যদি লোকে কিছু বলে ! কিন্তু কতদিন ?

অবাক হতে হতে, গায়ে না মাখতে মাখতে কেমন অমানুষ মনে হচ্ছে নিজেকে তাই না বলে আর থাকতে পারলাম না। আমি তো এখন অধ্যাপিকা। কাদা ছোড়াছুড়ির কাজ করা হত বলেই নাকি ‍‍'দলিত‍‍' 'পিছিয়ে পড়া' ‍‍'সোনার চাঁদ' 'সোনার টুকরো‍‍'। আজকেও যদি সেটা করা হয় তাহলে তফাৎ থাকবে না। এই যে আমি মানুষ তাই কারা কারা ঠিক কি কি করেছিল সব মনে থাকলেও তাদের প্রতি বিদ্বেষ নেই। যদিও পাশের উচ্চ বর্ণের কালো রঙের মহিলাটিকে নাম জিজ্ঞেস করলে তাকে জোর দিয়ে দুবার টাইটেল আওড়াতে হচ্ছে "আমি অমুক..র্জি। আমি তো ব্রাহ্মণ"। যাতে আমার সাথে তার ভেদ প্রকট হয়। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রছাত্রীদের মানব অধিকারের পাঠ শেখায় যারা ক্লাসের বাইরেই চূড়ান্ত জাতিবাদী বক্তব্য দেয় তারা। আসলে পরতে পরতে ব্রাহ্মণ্যবাদের মানসিকতা ঘিরে ধরছে সকলকে। সমাজের পুরাতন ছোঁয়াচে ব্যাধি বলে কথা। বৌদ্ধ দর্শন বা আম্বেদকরের দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়েও সতত তারা বলছে ‍‍'যতই হোক কোটায় চাকরি তো‍‍'। এই জ্ঞানের ধ্বজাধারীরা যখন হাসতে হাসতে দাঁত বার করে বলে "সুযোগ পেলেই তো আর জ্ঞান সমান হয় না"। সত্যি বলছি তখন গৌতম বুদ্ধের ‍‍` উপেক্ষা ‍‍'ব্রহ্ম বিহারের সাহায্য নিয়েই রাস্তার সামনে দিকে চোখের পাতা না ফেলে এগিয়ে যাই। কেউ আবার গ্লানিবশত ভুলের মাসুল-স্বরূপ বাক্য বলেন 'তুমি তো জে. এন. ইউ এর টপার ছিলে, তোমাকে বলছি না।তুমি তো পড়াশুনায় ভালো"। দয়া করুন !!! আপনার ব্যালেন্স করা কথায় আমার কিছু এসে যায় না। আসলে এখন তো আর ভাতে মারতে পারবে না তাই পাশে এসে বা দেখা মাত্র জাতের সাথে একটু রঙে, উচ্চতায়, গড়নে, সব দিক থেকে তাকে আধমরা করার চক্রান্ত শিক্ষিত সমাজে প্রতিনিয়ত অবচেতনে হচ্ছে। আসলে যারা এগুলি বলছে তারাও তাদের ইতিহাস সম্বন্ধে অনভিজ্ঞ।ব্রাহ্মণ্যবাদ আমাদের সমস্যা। যারা এই ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে সতত চিৎকার করছি তারাই পদ আর স্বীকৃতি পেয়ে আবার ব্রাহ্মণ্যবাদ শুরু করছি। আমরা একটু ক্যাজুয়াল হয়ে যাচ্ছি না ?

আমরা কি আরেকটু মানুষ হবার দিকে এগিয়ে যেতে পারি না ? এস.সি. এস. টি ও বি সির মধ্যে থাকা জাতিগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক প্রতিদিন আরও বীভৎস রূপ নিচ্ছে।একে অপরকে ভালোবাসতে ভয় হচ্ছে।কোনভাবে ভালোবেসে ফেললেও তার স্বীকৃতি মিলছে না। যে ভালোবাসা নিষ্পাপ শিশুর মত হয় তার গলা টিপে মেরে ফেলা হচ্ছে শুধু এই ব্রাহ্মণ্যবাদের কারণে। শিক্ষিত ব্রাহ্মণ ছেলেটি আর শূদ্র মেয়েটির ভালোবাসার পরিণতি হল মৃত্যু। হায় রে মোর বঙ্গ ! কত যে দেখি রঙ্গ। সত্যি আমাদের ভাবতে হবে। ভারতে এই রোগগুলো চিরকাল ছোঁয়াচে ছিল তাই এই রোগ যেন সংক্রমিত না হয় এই আশা নিয়েই আজকের দিনে লিখছি। মিম বা ট্রোল বা কমেন্ট এলেও তা অস্বাভাবিক ভাবব না কারণ প্রাচীন ধর্মশাস্ত্রের মতেও শ্রুতি, স্মৃতি, সদাচারের পর ধর্মের সর্বশেষ প্রমাণ হল আত্মতুষ্টি।আমি অমানুষ হতে পারি নি, এই আত্মসন্তুষ্টি। এই নিয়েই বেঁচেছি আর এই সন্তুষ্টি নিয়েই মাথা উঁচু করে চলে যাব। আজ যার জন্মদিন তিনি আমাকে প্রশংসা আর নিন্দার বাইরে এসে বাঁচতে শিখিয়েছেন।তিনি বলেছেন "তোমার জন্ম যুদ্ধের ফলে হয়েছে তাই পদ পেলেও যুদ্ধ করে যেতে হবে আর পদমর্যাদা না পেলেও আমৃত্যু যুদ্ধই তোমার একমাত্র সম্বল।এমনকি মৃত্যুর পরেও সেই যুদ্ধ করতে হবে যাতে কিছু মানুষ তোমার জন্য বাঁচার রসদ খুঁজে পায়।অস্ত্র কেবল একটাই, তা হল শিক্ষা। আজ যার জন্মদিন সেই ব্যক্তি আমায় মাথা উঁচু করার পথ দেখিয়েছেন।সেই পথে আছে শিক্ষা শিক্ষা আর কেবল শিক্ষা। আমি এস সি বলে যেমন আমার হীনমন্যতা নেই (যদিও সমাজে চেষ্টা চলছে আর চলবে) তেমন আমি এস সি বলে কোন অহংকারও নেই আবার উচ্চবর্ণের বা ব্রাহ্মণ নই বলে ক্ষেদও নেই (যদিও আমার দেখা বহু মানুষ তার হীনমন্যতা সূচক টাইটেল এপিঠ ওপিঠ করে বদলে নিজের মূল ছেদন করে প্রধান সমুদ্রে মিশে গেছে) কেবল একটাই কথা জানি আমার জন্ম হওয়া বা সংবিধানের মান্য ক্যাটাগরিগুলির আওতাভুক্ত হওয়া আমার হাতে নেই। যারা এটাকে হাতিয়ার বানিয়ে যেভাবে যতবার আমাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করুক না কেন তাতে তাদের দুর্বলতা ও ব্যর্থতাই প্রকাশ পায়। সব দিন সবার হয় না। কিছু কিছু দিন কিছু মানুষের জন্য হয়। সময় আর সুযোগ আজ দুটোই আছে, তাই আজকের দিনটি এই কথাগুলো বলার জন্য বেছে নিলাম। আজ খুব শুভ।কি ভাবছেন ? ছুটি পেয়েছি বলে।একদম ঠিক। ছুটি সবার জন্মদিনে পাওয়া যায় না।আজকের ছুটিটাও অর্জন করে পাওয়া।আজ যার জন্মদিন তিনি সবার ড. ভীম রাও আম্বেদকর। যারা তাকে "এস সি দের বা এস টি দের নেতা ‍‍`বলে চিহ্নিতকরণ করেন তারা একবার ভেবে দেখুন তো কোন সুবিধা ভোগ করছেন না তো তাঁর দেওয়া? তাহলে অন্যের দিকে তাকানোর আগে আজকেই সেই সুবিধা নেওয়া বন্ধু করুন বা স্বীকার করুন কি কি সুবিধা নিয়ে ফেলেছেন।পুরুষদের না হয় বাদ দিলাম। আমি একজন নারী তাই অন্তত উঁচু নিচু শ্রমজীবী নারীদের প্রতি আমার আবেদন, যে শাস্ত্র আপনাকে দেবী বলে সম্মান দিয়েছে আর সেই সম্মানে আপনি প্রায়ই গর্বিত অনুভব করেন।একবার বলুন তো সেই শাস্ত্র কি আপনাকে পড়াশুনার অধিকার দিয়েছে ? উত্তর হল ‍‍` না ‍‍`।আমার আবেদন আমরা দেবী হই বা না হই তার থেকেও বড় সংগ্রাম হল আমরা মানুষ।রক্ত, মাংস, হাসি, কান্না, রাগ, অভিমান মেশানো মানুষ।ওহে নারী ! যে সংবিধানকে প্রতিনিয়ত ছোট করছ এই ভেবে যে তাতে ‍‍'ওদের‍‍' গায়ে লাগবে আর নিজের গায়ের জ্বালা মিটবে তাদের বলছি সময় নষ্ট হচ্ছে। আপনারা যারা মাতৃত্বকালীন ছুটি নিচ্ছেন সেটা ‍‍ 'ছুটি' নয় সেটা আমার আপনার জন্য বাবা সাহেবের সংঘর্ষ। হিন্দু কোড বিল পাস না হলে আজ না জুটত সম্পত্তির অধিকার, না জুটত এক স্বামীর পত্নী হওয়ার অধিকার আর না জুটত শিক্ষা। তাই তো বলি, তিনি আমার আপনার সবার, এটা যেদিন ভাবা শুরু করবেন সেদিন এই দিন উৎযাপন স্বার্থক হবে। ব্রাহ্মণ্যবাদী মনোভাবের অস্তিত্ব এই বাংলায় আছে বলেই তোমার জন্মদিন স্বার্থক। যে আমাকে পড়তে অধিকার দিল তাকে এই একটাও দিনে যেন ভারতীয় নারীরা মনে করতে পারি।যে নারীদের স্বপ্ন দেখতে শেখালো সে শুধু এস সি দের নেতা কি করে হবে ? যে সম কাজের সম অর্থ পাওয়ার অধিকার করে দিল সে শুধু ‍‍` ওদের ‍‍` কি করে হবে ? যে শ্রমজীবী নারীর মা হওয়াকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে সবেতন অবকাশের ব্যবস্থা করল সে শুধু একটা গোষ্ঠীর কি করে হবে? কেউ বলবেন এসব বলে লাভ নেই কিছু এস সি, এস টি সুযোগের অপব্যবহার করছে। আগের ইতিহাস মনে না করলেও ইতিহাস কাউকে ছাড়ে না।কোনোদিন ছাড়ে নি। যেগুলো বললে নিজেকে কষ্ট দেওয়া হবে সেই বাক্যগুলো নিরপেক্ষভাবে রাখলাম। কারণ সেই ভাষায় মনের জ্বালা মিটবে মাত্র।সমাজের জ্বালা কমবে না। আমার অনেক ঘুম কেড়ে নেওয়া রাতের অন্ধকার আমার কাছেই থাক। চারিদিকে তো বিদ্বেষ তাই সেই মানসিক কষ্ট দেওয়া বাক্যগুলো আমার কাছেই থাক। রাস্তা অনেক বাকি। সময় আর সুযোগ হলে চোখে আঙ্গুল দিয়ে মুখে হাসি নিয়েই তাদের বিষের নেশাকে ছাড়াব। আজ যার জন্মদিন তিনি হাজারও যন্ত্রণা সয়েও সবার জ্বালা মেটার কথা বলেছেন। আমিও সেই কাজ করে যাই আপাতত। তাঁর সময়ে বি এন রাও ছাড়া আর কেউ তাঁর কাছাকাছি বা সমান শিক্ষিত ছিলেন না তবুও এসির হাওয়া খেতে খেতে আজ মানুষ তাঁর মেধার বিশ্লেষণ করে। আমি তো চুনোপুঁটি। আমাকেও আমার মেধার অস্তিত্বের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে যেতে হবে।সামনের লড়াই যেন তাঁর মত চোখে চোখ রেখে করে যেতে পারি। আজ আমার প্রাপ্য অধিকারের যে দেবতা তাঁকে প্রণাম জানাই। শাস্ত্রেও বলা হয়েছে "দেবো দানাদ্ বা......."

তিনি মানব-দেবতা কারণ তিনি যা দিয়েছেন তা আপনার আমার মত একজন দুজনের জন্য নয়, সমগ্র মানব কল্যাণের জন্য দিয়েছেন। এস সি বা এস টি সুযোগের অপব্যবহার করেছে এমন কিছু নমুনা বুকে না বেঁধে যে নিম্নবর্ণের একজন তার পাড়া, গ্রাম, এলাকা বা সমাজকে একটু বাঁচার আশা যোগাল সেটা দেখুন। খারাপটা দেখতে দেখতে আর খারাপটা বলতে বলতে ওপারের ভালো সম্ভাবনাকে মেরে দিচ্ছি আমরা।সেটা কাঙ্ক্ষিত নয়। শিক্ষার হাতিয়ার তুমিই দিয়েছ, তাই শিক্ষা দিয়েই জাগাতে পারি। সত্যের পথে তুমি চলতে শিখিয়েছ, তাই মিথ্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি। আমাদের হৃদয়ে তুমি আছো, তাই রক্তপাত ছাড়াই যুদ্ধে করতে পারি। নির্ভীক হতে তুমি শিখিয়েছ, তাই সদর্পে এগিয়ে যেতে পারি। মানুষ হওয়ার অধিকার তুমি দিয়েছ, তাই প্রতিবাদের ভাষাটুকু ছড়াতে পারি।

হিংসা দিয়ে হিংসা শেষ হয় না, তাই ভালোবাসার গানই গাইতে পারি।

Side banner