এস এম সাব্বির খান
লাঞ্ছিত করোনার বঙ্গ ত্যাগ
সামাজিক দূরত্ব- বিরক্ত চরাচর
মহাশয় জানিয়েছে ব্যাধি গেছে অগোচর।
লজ্জায় মুখ ঢাকা, হাত ঘষা বার বার,
ব্যধি-ব্যামো গত সব আর কি বা দরকার।
অকারণ হাত ঘষে ফেনা তোলা দিন রাত
বুদ্ধিটা দিলো কে যে, কোন ব্যাটা বজ্জাত!
কিসের কি ছ্যাত ছ্যাতত,
এই মারে স্প্রিট, ঝাঁঝালো সে গন্ধেরে প্রাণপাত,
আনফিট! মহাশয় ধীরে কয়, বাঁচো সবে নির্ভয়,
রোগব্যাধি, মোর গদি- ঘুঁচে গেছে সংশয়।
আর নয় টানাটানি কানাকানি বার্তায়,
কটা মরে কটা ভোগে- বিবৃতি আর নয়।
নাকে কাঠি মুখে ঢিপি, চোখ-মাথা রাখ ঢাক,
নিত্য সে বিধি মানা, এই জ্বলা দূরে যাক।
মরার যে মরবে সে ব্যাধি কিবা ভুকা পেট,
তাও টিকা দিচ্ছে তো ফারাক্কা স্ল্যুইস গেট!
মহাশয় মহাজন তার ছিলো মিত্র,
দু পয়সা কামালো কি জ্বলে বুঝি গাত্র!
তালা দিলে তার দ্বারে মাজা বাধা দড়িতে,
মহাশয় চটে লাল, হাত নাড়ে দাড়িতে।
যে ব্যামোর দায়ে আজ হোতকাটা মার খায়,
জেলে পড়ে ধুকে মরে সুন্দরী প্রিয়া হায়,
সে ব্যামোর নিকুচিটা মহাশয় করবেই,
সাফ কথা বলে দিলো, ব্যামো বলে কিছু নেই।
প্রমাণ কি ব্যাধি আছে জীবাণু কি দেখা যায়,
দুনিয়া চুলোয় যাক নেবে না সে পরোয়ায়।
বুক ভরা খেদ তার, কষ্ট যে করে গ্রাস
অপমানে কাঁদে বসে করোনার ভাইরাস।
কত কত লোকে তার ভয়ে কাঁপে দিনভর
এ বাঙালি তারে বলে 'কিসের কি ধুত্তর'।
ছাগ দাড়ি বজ্জাতে নিজ গদি সামলায়,
করোনার অপমান বীরভূমি বাংলায়।
আপনার মতামত লিখুন :