হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
কালচিত্র | শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায় প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২০, ০১:৫১ পিএম

হরপ্রসাদ শাস্ত্রীকে নিয়ে চমৎকার একটা লেখা লিখেছেন শিশির রায়। আজকের আনন্দবাজার পত্রিকায়। পড়ে ভালো লাগলো।
বিদেশী ভারতবিদদের সমান্তরালে উনিশ শতকে স্বদেশী ভারতবিদ্যার পথিকরা যে মাথা তুলেছিলেন তাদের মধ্যে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী অন্যতম। প্রাচীন দেশীয় বিদ্যার নষ্টকোষ্ঠী উদ্ধার করার এজেণ্ডা নিয়েই চলেছেন। বিদ্যাসাগর ও বঙ্কিমচন্দ্র , এশিয়াটিক সোসাইটি ও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ এই দুয়ের সংযোগ সেতু হওয়া সহজ কথা ছিল না।
তার গোড়া বেঁধে দিয়েছিলেন স্বয়ং বিদ্যাসাগর। তখনও গ্রামে গ্রামে সংস্কৃতচর্চার রমরমা চলছিল। যেমন বীরসিংহ ক্ষীরপাইতে তেমনি নৈহাটী ভাটপাড়ায় কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতায় ভাঁটার টান। এক নতুন সময়ের সন্ধিক্ষণে এদের আসা। এদিকটা বিদ্যাসাগর একটু নজরে রেখেছিলেন।
নৈহাটীর সুখ্যাত পণ্ডিত নন্দকুমার ন্যায়চঞ্চু বর্ধমান রাজ পৃষ্ঠপোষকতা থেকে হাতফেরতা হয়ে এসেছিলেন বিদ্যাসাগরের হাতে। কান্দীতে প্রতিষ্ঠিত নতুন ইস্কলে ৮০ টাকা বেতনে তার মাষ্টারির ব্যবস্থা বিদ্যাসাগরই করে দেন। ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হলে কলকাতায় নিয়ে এসে গুডিভ চক্রবর্তীর কাছে চিকিৎসা করিয়েও লাভ হয় নি। তখন বিদ্যাসাগর তাদের পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব নেন। নন্দকুমারের অকালপ্রয়াত ভাই রামকমলের কিশোরপুত্র হরপ্রসাদের লেখাপড়ার দায় বিদ্যাসাগরই নেন। তার বাসায় রেখে সংস্কৃত কলেজে পড়ার ব্যবস্থা করে দেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী যা হয়েছেন তার মূলে ছিলেন বিদ্যাসাগর। অল্প হলেও তার আভাস লেখাটিতে দেওয়া হয়েছে।
পারলে পড়বেন।
আপনার মতামত লিখুন :