kalchitro
Bongosoft Ltd.
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
বিগত দুই শতকে ভয়াবহতার ইতিহাস

ভারতবর্ষে মহামারী ও অতিমারি প্রাদুর্ভাব


কালচিত্র | কালীকৃষ্ণ সূত্রধর প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২১, ০১:৫৯ পিএম ভারতবর্ষে মহামারী ও অতিমারি প্রাদুর্ভাব

কালীকৃষ্ণ সূত্রধর

 

ভারতবর্ষ অতি প্রাচীন দেশ । প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষের মাটিতে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায় । উনবিংশ শতকের সূচনালগ্ন থেকে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে মহামারী ও অতিমারীর প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়, যা ভারতবাসীর জনজীবনের উপর গভীর প্রভাব ফেলে । গবেষকগন বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছেন ভারতবর্ষে মহামারি ও অতিমারির কারণ হিসেবে । সাধারণত বলা যেতে পারে, অপুষ্টি, স্যানিটেশনের অভাব এবং সঠিক জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভাবের ফলে তা সর্বাধিক প্রসারিত হয়েছিল । এই দুই শতকে ভারতবর্ষের জনজীবনকে যথেষ্ট পরিমাণে প্রভাবিত করেছিল ।

প্রথম কলেরা মহামারি (১৮১৭ সাল):- ১৮১৮ সাল থেকে ১৮৯৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভারতবর্ষের বিভিন্ন এলাকার কলেরার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা যায় । এই কলেরা রোগ ভারতবর্ষের গ্রামাঞ্চলের এলাকাগুলিতে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছিল । কলেরা রোগের ফলে প্রচুর লোকজন মারা যায়।ব্রিটিশ উপনিবেশিক ভারতে প্রথম মহামারি ছিল কলেরা। সম্ভবত কলেরা মহামারি সর্বাধিক ভয়ঙ্কর হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এর বিস্তৃত প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত সময়কাল ছিল। ১৮১৭ সালে ২৩ শে আগস্ট যশোরের একজন সিভিল সার্জেন প্রথম কলেরা হওয়ার ঘটনাটি উল্লেখ করেন। কলেরার কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ১৮১৭ সালের প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যার ফলে এই মহামারি দ্রুত বিকাশ ঘটেছিল। ভারতের গ্রামীণ জনগণ এই মহামারির দ্ধারা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

দ্ধিতীয় কলেরা মহামারি (১৮২৬ সাল):- ১৮২৬ সালে বঙ্গদেশের নদীগুলির মধ্য দিয়ে জীবাণু বাহিত হয়ে উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কলেরা মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল। পরবর্তীকালে পাঞ্জাব ও দিল্লীতে এই মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল, এই মহামারি চীনদেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল। চীন থেকে ভারতের বাণিজ্য পথের সমস্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে প্রতিটি অঞ্চলে এই মহামারি মাত্র কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী ছিল, কিন্তু এর প্রভাব মারাত্বক ছিল, প্রতিদিন শতশত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

তৃতীয় কলেরা মহামারি (১৮৫২-১৮৬০ সাল):- তৃতীয় পর্যায়ের কলেরা মহামারি ১৮৫২ সাল থেকে ১৮৬০ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। এই মহামারির ইতিহাসগত গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য হল, এই মহামারিটি সেইসব দেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল, যেই দেশগুলি তখনও পর্যন্ত প্রভাবিত হয়নি।এই মহামারিটি পারস্য, আরব ও রাশিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও ভারতবর্ষ এই মহামারির প্রভাবের প্রধান ক্ষেত্র ছিল না, তবে বাংলায় এই মহামারির ছোট ছোট প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। 

চতুর্থ কলেরা মহামারি (১৮৬৩ সাল):- ভারতে চতুর্থ পর্যায়ের কলেরা মহামারি ১৮৬৩ সালের গোঁড়ার দিকে শুরু হয়েছিল। অনেকে মনে করেন, এই মহামারিটি মক্কা থেকে ভারতে আসা হজ যাত্রীরা নিয়ে এসেছিল। তবে অনেকে এই মতের বিরেধিতা করে বলেছিলেন যে, এটি কেবল একটি পুনরাবৃতি। তবে সকলে একমত যে, মক্কা থেকেই এই সংক্রমণটি বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৮৬৭ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হরিদ্ধারের কুম্ভমেলা থেকে এই মহামারিটি সমগ্র উত্তর ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল।

পঞ্চম কলেরা মহামারি (১৮৮১ সাল):- পঞ্চম কলেরা মহামারি ভারতে ততটা মারাত্বক ছিল না। এই কলেরা মহামারি কেবলমাত্র যুক্তপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

ষষ্ট কলেরা মহামারি (১৮৯৯-১৯২৩ সাল):- ১৮৯৯ সালে ভারতে কলেরা মহামারির প্রাদূ ভাব ঘটে। বোম্বাই, কলকাতা ও মাদ্রাজে এর প্রকোপ মারাত্বক ছিল। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে এই মহামারিটি প্রায় ২৫ বছর ধরে চলেছিল। ষষ্ট কলেরা মহামারিতে ভারতে ৮০০০০০ এর বেশী লোক কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল।

ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি (১৯১৮ সাল):- ১৮১৮ সাল থেকে ১৮২০ সালের মধ্যে ভারতে বিশেষভাবে বোম্বাই শহরে ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারির প্রাদুর্ভাব সর্বাধিক বেশী প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাই এই মহামারি ভারতে “বোম্বে ইনফ্লুয়েঞ্জা” বা “বোম্বে জ্বর” নামে সর্বাধিক পরিচিত।প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনাদের মধ্যে থেকে এই মহামারিটি বিস্তার লাভ করেছিল। এরপরে মহামারিটি পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারত থেকে ক্রমশ পূর্ব ও উত্তর ভারতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং আগস্ট মাসের মধ্যে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বোম্বে শহরে ১৯১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে, মাদ্রাজ শহরে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে এবং কলকাতা শহরে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশী ছিল।ID Mills এর গ্রন্থ “The 1918-1919 Influenza Pandemic- The Indian Experience” থেকে জানা যায়, মহামারিটি ২০ থেকে ৪০ বছরের তরুণদের সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল এবং পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।এই সময় ভারতে মৌসুমী বৃষ্টিপাত ঠিকমত হয়নি বলে খরার মত অবস্হার সৃষ্টি হয়েছিল এবং এর ফলে অনেক মানুষ না খেতে পেয়ে অভুক্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অভিবাসন করে, এ ব্যাপারটি ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি বিস্তারকে আরও ভয়ংকর রুপ প্রদান করে। মহামারিটি এতই ভয়ংকর ছিল যে, ১৯১৯ সালে ভারতে শিশু জন্মের সংখ্যা ৩০ শতাংশ কমে যায়।  এই মহামারির কারনে ভারতে ১ কোটি ২০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৭০ লক্ষ লকের মৃত্যু হয়েছিল, যা সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক।

পোলিও মহামারি (১৯৭০-১৯৯০ সাল):- ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে পোলিও রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। পোলিও রোগের ফলে প্রচুর শিশু বিকলাঙ্গ রূপে জন্ম গ্রহণ করতে থাকে। ১৯৯০ এর দশকের শেষ দিকে পোলিও টীকা আবিষ্কার হওয়ার আগে পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে ভারতে পোলিওর দ্বারা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। উত্তপ্রদেশ রাজ্যে পোলিওর প্রকোপ সর্বাধিক ছিল। ভেলোর জেলায় এক হাজার শিশু পোলিওর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল।

গুটি বসন্ত (১৯৭৪ সাল):- ১৯৭৪ সালে ভারতের গুটি বসন্ত বিংশ শতকের সবচেয়ে ভয়ংকর মহামারিগুলির মধ্যে অন্যতম। এই মহামারি বিহার, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করেছিল।। গুটি বসন্ত একপ্রকার ছোয়াচে রোগ। ১৯৭৪ সালে জানুয়ারি মাস থেকে মে মাসের মধ্যে এই মহামারির প্রকোপে পনেরো হাজার মানুষ মারা যায়। পরবর্তীতে প্রচুর মানুষ এই রোগ থেকে মুক্ত হয়ে উঠেছিল, তবে তারা শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। অনেকে দুষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিল।গুটি বসন্ত রোগের মোকাবিলার জন্য ১৯৭৫ সালে “টার্গেট জিরো” (“Target Zero”) নামক এক নতুন কর্মসূচীর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল, সমগ্র পৃথিবী থকে গুটি বসন্ত নামক মহামারিকে নির্মূল করা। ১৯৭৫ সালের মে মাসে ভারতে শেষ গুটি বসন্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছিল, সেটি ত্রিশ বছর বয়সী এক মহিলার মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল। ১৯৭৭ সালে ভারতে গুটি বসন্ত নামক রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত বলে ঘোষণা করে। ১৯৮০ সালে মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মিলিনী আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছিল, “ বিশ্ব আর বিশ্ববাসী গুটি বসন্ত থেকে স্বাধীনতা জয় করে” (“The World and all its peoples have won freedom from smallpox”)।

সুরাট প্লেগ (১৯৯৪ সাল):- ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সুরাটে প্রথম প্লেগ দেখা যায়। তা ক্রমশই ভারতের অন্যত্র জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। ১২০০ এর মত মানুষের শরীরে ইতিবাচক (Positive) পাওয়া গিয়েছিল। এই ভাইরাস দুই সপ্তাহের মত স্থায়ী ছিল। তবে এর মৃত্যুর হার বেশী ছিল। প্রাথমিকভাবে এই ভাইরাসের উৎস শনাক্ত করা চিকিৎসকদের পক্ষে অসম্বব হয়ে পড়েছিল, কিন্তু চিকিৎসকরা এর সমাধান আবিষ্কার করেছিল, যার ফলস্বরূপ এর প্রসার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সমস্ত রকম সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল।

উত্তর ভারতে প্লেগ (২০০২ সাল):- ২০০২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে হিমাচল প্রদেশের সিমলা জেলায় প্লেগ মহামারি শুরু হয়েছিল। তবে এই ভাইরাসের প্রভাব মারাত্মক ছিল না। এই প্লেগ মহামারি শনাক্ত হওয়ার সাথে সাথে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল, যা মহামারিকে একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে বেঁধে রেখেছিল।

ডেঙ্গু মহামারি (২০০৩ সাল):- ২০০৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লীতে ডেঙ্গু মহামারি দেখা যায়। ডেঙ্গু মহামারি দিল্লীতে অক্টোবর- নভেম্বর মাসে চরম পর্যায়ে উন্নীত হয় এবং ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এর প্রভাব ছিল। এর মৃত্যুর হার ছিল শতকরা ৩ শতাংশ। সমস্ত রকম প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেওয়া সত্বেও এটি ভারতে একটি বড় মহামারির আকার ধারণ করেছিল।

চিকুনগুনিয়া মহামারি (২০০৬ সাল):- ২০০৬ সালে আমেদাবাদে চিকুনগুনিয়া নামক মহামারির প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। চিকুনগুনিয়ার ফলে ৩.৪ মিলিয়ন জনগণ আক্রান্ত হয়েছিল। তাঁর মধ্যে ২৯৪৪ জন লোক মারা গিয়েছিল। ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ ভারতে আরও একটি মহামারি দেখা যায়। এই মহামারিটি অন্ধপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু ব্যাপক ক্ষতি করেছিল। মশার নিয়ন্ত্রণের জন্য বৃহত্তর আকারের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল এবং টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি সচেতনতা মূলক প্রচার চালানে হয়েছিল।

ডেঙ্গু মহামারি (২০০৬ সাল):- ২০০৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে আবার দিল্লীতে ডেঙ্গু মহামারির প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে এই ডেঙ্গু মহামারি ভারতের রাজস্থান, কেরল, গুজরাট, চণ্ডীগড় এবং উত্তরপ্রদেশে বিস্তার লাভ করেছিল। মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর একটি নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন করেছিল।

গুজরাটে জন্ডিস মহামারি (২০০৯ সাল):- ২০০৯ সালে গুজরাটের মেদাসা শহরে জন্ডিস মহামারির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এটি একটি দীর্ঘ স্থায়ী মহামারি ছিল। ভারত সরকার এই মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার করেছিল।

উড়িষ্যার জন্ডিস মহামারি (২০১১-২০১৪ সাল):- ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে উড়িষ্যার প্রত্যন্ত গ্রাম কাঁটাল বাইতে জন্ডিস মহামারি প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ভারত সরকার এই মহামারি মোকাবিলার জন্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে, এটি Hypothisis E নামক ভাইরাস দ্ধারা সংঘটিত হয়েছিল। এই মহামারি হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল HIV জীবাণু। এই মহামারির ফলে অনেক মানুষ সংক্রামিত হয়েছিল। নিচু সমাজের জনগণের মধ্যে এই মহামারিটি বেশী বৃদ্ধি পেয়েছিল।

Indian Swine Flu (২০১৫ সাল):- ভারতে এই মহামারিটি ২০০৯ সালে প্রথম দেখা যায়। ২০১৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই মহামারিটির প্রভাব থাকে। এই মহামারিটি ভারতের রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট রাষ্ট্রে সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করেছিল।

নিপা ভাইরাস (২০১৮ সাল):- ১৯৯০ সালের শেষ দিকে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় নিপা ভাইরাস্তি প্রথম লক্ষ্য করা যায়। ২০১৮ সালের মে মাসে ভারতের কেরলা রাজ্যের কেজি কোট জেলায় নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। এই ভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।

উপসংহার:- পরিশেষে বলা যায়, বিগত দুই শতকের মহামারির ইতিহাসে ভারতবর্ষ অনেকগুলি মহামারি ও অতিমারির শিকার হয়েছিল।এইসব মহামারিগুলির প্রাদূভাবের প্রাথমিক কারণ হিসেবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকাস, জনগণের মধ্যে বিজ্ঞান সচেতনতার অভাব, মৌসুমী জলবায়ুর বৃস্তিপাতের তারতম্য প্রভূতি। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রযক্তিগত বিদ্যার প্রসার, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রসার প্রভূতির দ্ধারা এইসব অতিমারি ও মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হয়েছিল। যদিও এই সকল রোগের ভয়াবহতা থেকে বের হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিষেধক টিকা ওষুধ আবিষ্কার হয়েছিল যার ফলস্বরূপ সমগ্র মানব জাতিকে এইসব ভয়াবহ জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল ।

 

 

Side banner