আমদানির তুলনায় রফতানি কমে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিভাবে রফতানি বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি নিত্যপণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক ও পর্যাপ্ত মজুদ রাখারও নির্দেশ দেন। এ সব তথ্য জানান বৈঠকে অংশ নেয়া সচিবরা।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমলেও খাদ্যপণ্য আমদানিতে ডলারের জোগান দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অর্থ, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ-জ্বালানী, খাদ্য ও কৃষি সচিবসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের সাথে বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।
সারাদেশে যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএস কার্যক্রম চলছে সেটা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন জানান, বাজারে সরবরাহ ও সংরক্ষণ ঠিক রাখার জন্য তৎপরতা বাড়াতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, রফতানি বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানি আমদানির এলসি খোলা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বেসরকারি খাতের জন্য এলএনজি আমদানি, রেমিটেন্স বাড়ানোর পাশাপাশি বিলাসবহুল পণ্য আমদানি বন্ধেরও নির্দেশনা ছিল প্রধানমন্ত্রীর।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক কোটি পরিবারকে তেল, চিনি এবং ডাল এই তিনটি পণ্য দেয়া বন্ধ না করতে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য প্রয়োজনে ভর্তুকি দেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :