kalchitro
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা


কালচিত্র প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২০, ১২:৪৮ পিএম ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প- সিএনএন

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। চীন থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ৪ হাজার ৬ শতাধিক লোকের। এমন পরিস্থিতিতে করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বুধবার (১১ মার্চ) টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে তিনি আগামী ৩০ দিনের জন্য ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমাদের দেশের সীমানার মধ্যে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি যেন প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সিদ্ধান্তটি নিয়েছি। এই নতুন নিয়মটি আগামী শুক্রবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে।

নিষেধাজ্ঞাটি ভীষণ প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, গোটা ইউরোপে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও যুক্তরাজ্যকে এখনই এর আওতায় আনা হচ্ছে না। যদিও দেশটিতে এরই মধ্যে ৪৬০ জনের শরীরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।

মার্কিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে এক হাজার ১৩৫ জনের শরীরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এ দিকে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইতালি। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গোটা ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২৭ জনে পৌঁছেছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১২ হাজার ৪৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। তাই দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

এসকে

Side banner