kalchitro
Bongosoft Ltd.
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কিনু কাহারের থেটার নিয়ে মুগ্ধকর অভিজ্ঞতা


কালচিত্র | আজাদ বুলবুল প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৩, ১০:২৫ এএম কিনু কাহারের থেটার নিয়ে মুগ্ধকর অভিজ্ঞতা

কিনু কাহারের থেটার নিয়ে মুগ্ধকর অভিজ্ঞতা

আজাদ বুলবুল

 

ইংরেজ শাসনের শেষ আমল। গ্রামের এক থিয়েটার দল হাটে মাঠে ঘাটে তাদের পালাগান নিয়ে হাজির হয়। হাস্য তামসা কৌতুক আর তীক্ষ্ম বাক্যবাণে সমাজের অন্যায় অনিয়ম তুলে ধরে। দলপ্রধান এক নিম্নবর্গের অন্ত্যজ। নাম কিনু কাহার। রাষ্ট্রীয় কুশাসন, ক্ষমতার মোহ, নৈতিকতা, লোভ, ধর্মব্যবসার বিষয়াবলি তাদের ঘণ্টাকর্ণ পালায় তুলে ধরার কারণে এই থিয়েটার দল ক্ষমতাবাণদের রোষানলে পড়ে। সমকালের অন্যায় অনিয়ম তুলে ধরার কারণে প্রায়শ ভন্ডুল হয়ে যায় তাদের শ্রমলব্ধ আয়োজন। ঠাট্টাচ্ছলে হাস্যকোলাহলে ‍‍`সং নাচার এই থিয়েটার দল‍‍` সহজ সরল একজন ঘণ্টাকর্ণের মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয় ও বিপন্ন মানবতার স্বরূপ তুলে ধরে। কুশীলবদের দুর্দান্ত অভিনয় সমকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনাবলীর সুবর্ণ দৃশ্যায়ণ হয়ে ধরা দেয়। হাস্য-লাস্য- ভাস্য ‍‍`কিনু কাহারের থেটার‍‍` কে অতিমাননীয় মর্যাদায় অভিসিক্ত করে।

গতকাল সন্ধ্যায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের প্রযোজনায় মঞ্চায়িত হয় মনোজ মিত্রের বহুল আলোচিত ও প্রদর্শিত নাটক কিনু কাহারের থেটার। নাট্যজন অসীম দাশের নির্দেশনায় এটি ছিলো একটি সফল প্রযোজনা। অভিনয়, কোরিওগ্রাফি, আলো, আবহসঙ্গীত, মঞ্চসজ্জা; সব মিলিয়ে দারুন এক আয়োজন ছিলো এটি। হলভর্তি দর্শকদের করতালিমুখর উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়ে শেষ হয় দুই ঘণ্টার অনবদ্য অভিনয়পর্ব।

কিনু ও ঘণ্টকর্ণে ভুমিকায় আল মামুন এবং জগদম্বার ভুমিকায় সানজিদা আমিনের অভিনয় ছিলো সপ্রভিত এবং সচ্ছল। রাজা উজির লাটসাহেব ও উদাসীনী চরিত্রে ইউনুস রানা সোহেল, আহাদ নুর ফকির, শামীম হোসেন নিশীথের অনবদ্য অভিনয় দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে। ভাঁড় চরিত্রে সাথী চক্রবর্তী ও অন্বেষা মজুমদার তাদের সেরাটা দেবার চেষ্টা করেছেন। মৌনিবাবা চরিত্রে উৎরে গেছেন মো. মামুন খান। আর একজনের কথা বলতেই হবে। তিনি মৌনীবাবার শিষ্য চরিত্রে অভিনয়কারী মায়েচিং মারমা। নাটকে তার এক লাইনও সংলাপ ছিলো না অথচ মুকাভিনয় ও দেহভাষায় মাধ্যমে মায়েচিং বিমলানন্দে মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। জয়তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগ। ধন্যবাদ নাট্যজন অসীম দাশ।

Side banner