ঢাকা: চলতি অর্থ বছররে প্রথম সাত মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৮ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবআির)। করোনাভাইরাসরে কারণে বৃহত্তম বাণজ্যিকি অংশীদার চীনের সঙ্গে আমদানি-রফতানি র্কাযক্রম সাময়কিভাবে বন্ধ থাকায় এ ঘাটতি আরো বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজস্ব ঘাটতি পূরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে এনবিআর।
এরমধ্যে রয়েছে, শুল্ক-কর আরোপিত বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে যারা কর দেন না এমন-ব্যক্তিদের করের আওতায় আনা। কারণ দেশে বর্তমানে আবাসিক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে। এর বড় একটি অংশের কর দেয়ার সামর্থ্য থাকলেও অনেকেই কর দিচ্ছেন না। গ্রাহকদের নিয়মিত করদাতায় রূপান্তর করতে কাজ চলছে। এছাড়া নিবন্ধনের সময় ফ্ল্যাট বা জমির প্রকৃত মূল্য দেখানো হচ্ছে কিনা তা যাচাই করবে আয়কর বিভাগ। এ লক্ষ্যে শীঘ্রই বিভিন্ন আয়কর অঞ্চলের গোয়েন্দা সেলে কর্মরত কর কর্মকর্তারা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে এনবিআরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ফ্ল্যাট ও জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে অনেক সময় ইটিআইএন সঠিকভাবে দেয়া হচ্ছে না। এর পাশাপাশি নিবন্ধনের সময় ফ্ল্যাট ও জমির প্রকৃত মূল্য না দেখিয়ে হয় অতি মূল্য বা কম মূল্য দেখানো হচ্ছে। এতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অনিয়ম সংঘটিত হচ্ছে। মূলত সেটি প্রতিরোধে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান পরিচালনা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এনবিআর সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম নগরীতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সিলেট, রাজশাহী ও খুলনায় জরিপ চালানো হবে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে জমি বা ফ্ল্যাট নিবন্ধনের তথ্য নেয়ার পাশাপাশি সেগুলো সঠিক কিনা সেটি আমরা যাচাই করব।
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রাজস্ব আদায়ে হোঁচট খায় এনবিআর। প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র তিন থেকে চার শতাংশ। জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে প্রবৃদ্ধি সাড়ে সাত শতাংশে উন্নীত হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার কোটি টাকায়। এ সময়ে ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা।
আপনার মতামত লিখুন :